দরজায় কড়া নাড়ছে শীত, আর আপনিও যদি আমার মত শীত নিয়ে বিশেষ আগ্রহী না হন, তাহলে চলে আসতে পারেন ভারতের অসাধারণ এই 9টি জায়গায়, যেখানে খোলা রোদে অনেক মজা করতে পারবেন।
উটের পিঠে চড়ে রাজস্থানের থর মরুভূমি ঘুরে দেখা মরুপ্রদেশের রুক্ষ সৌন্দর্য উপভোগ করার একটি অনবদ্য উপায়। যতদূর চোখ যায় সোনালী বালিয়াড়ি দিয়ে ঘেরা থর মরুভূমি ভ্রমণ সত্যিই একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা। অদ্ভূত সুন্দর এখানকার সূর্যাস্ত দেখুন, মরুভূমির কোন ক্যাম্পে রাত কাটান এবং চেখে দেখুন জিভে জল আনা রাজস্থানী খাবার, আর উপভোগ করুন এখানকার লোকনৃত্য এবং লোকসঙ্গীত। ম্যাঙ্গানায়ার উপজাতির লোকদের গান-বাজনার অনুরণনের মধ্যে তারা-খচিত আকাশের নীচে এলিয়ে পড়ুন ঘুমের কোলে।
সূর্যালোক, সমুদ্র এবং ফেনিল ঢেউয়ের রাজ্য হল গোয়া। বীচ ছাড়াও গোয়া এখানকার পর্তুগীজ বারোক স্টাইলের স্থাপত্যকর্ম সম্বলিত ঔপনিবেশিক চার্চ, সীফুড, এবং অবশ্যই জাঁকজমকপূর্ণ নাইটলাইফের জন্যও বিখ্যাত। বীচে গিয়ে আরামে সময় কাটান, অথবা আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চারে আগ্রহী হন তাহলে জেট স্কিইং, স্পীড বোটিং, ব্যানানা বোট রাইড এবং প্যারাসেইলিং ইত্যাদি জল-ক্রীড়ায় মেতে উঠুন।
ওল্ড গোয়াতে প্রাচীন পর্তুগীজ চার্চগুলি পরিদর্শন করে একটি দিন কাটান – এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল বম জিসাসের বাসিলিকা, যেখানে সেণ্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ারের দেহাবশেষ রাখা আছে। গোয়ার অজস্র নাইটক্লাবের কোন একটিতে সন্ধ্যেটি কাটান, যেমন, টিটো’স, ম্যাম্বোস, কার্লিস, অথবা সেণ্ট অ্যান্থনি’স – বিশেষত এর ক্যারাওকে নাইটের জন্য বিখ্যাত।
পূর্বতন ফরাসী মহল্লা এই মনোরম ছোট্ট শহরটি এটির ঔপনিবেশিক ঘরবাড়ি, বীচ এবং অকৃত্রিম বীচের জন্য বিখ্যাত। যদি আপনি একটু অন্যরকমভাবে পণ্ডিচেরী দেখতে চান তাহলে আমরা আপনাকে অরোভিলে কয়েক দিন কাটানোর পরামর্শ দেব, এটি নিস্তব্ধ এবং শান্ত জনজীবনের জন্য বিশেষ পরিচিত। মাটির জিনিসপত্র এবং কেক পেস্ট্রির দোকানের তারতম্য জানতে হলে এখানে কিছুটা সময় কাটান! অরোভিলের নিজস্ব বেকারি আছে যেখানে আপনি ঐতিহ্যবাহী ফরাসী ব্রেকফাস্ট পাবেন এবং তাছাড়াও অন্যান্য ফরাসী খাবার যেমন ব্রিওচে, কুকিস, লেমন কেক, ফ্রুট টারস এবং ক্রীম পাফ ইত্যাদিও অবশ্যই চেখে দেখুন!
Book Your Flight to Pondicherry
যদি আপনি ওয়াইল্ডলাইফ নিয়ে বিশেষ উত্সাহী হন তাহলে রন্থাম্ভোর ন্যাশনাল পার্ক আপনার অবশ্যই যাওয়া উচিত্। অপরিকল্পিতভাবে 1,334 স্কোয়ার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রাজস্থানের এই জঙ্গলটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, মার্শ ক্রোকোডাইল, লেপার্ড, চিনকারা এবং কাঠঠোকরা, মাছরাঙা ইত্যাদি আরও 300 প্রজাতির পাখিদের ঘাঁটি। বাঘ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য আমরা আপনাকে দু থেকে তিনটি সাফারি নেওয়ার পরামর্শ দেব। ওয়াইল্ডলাইফ ছাড়াও এখানকার আরেকটি আকর্ষণ হল দশম শতকের রন্থাম্ভোর ফোর্ট, প্রাচীন মসজিদ, মন্দির এবং ছত্রিও (সমাধিস্থল)।
প্রশান্ত ব্যাকওয়াটার, দোদুল্যমান সবুজ নারিকেল গাছ, যেদিকে তাকান বিস্তীর্ণ সবুজ গাছে ঢাকা রাস্তা – এই সব মিলিয়ে হল অ্যালেপ্পে। অ্যালেপ্পের এই নির্মল জলরাশি ঘুরে দেখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল কেট্টুভিল্লম-এ (হাউসবোট) জলবিহার। প্রতিটি হাউসবোটই সম্পূর্ণরূপে আসবাবপত্র-সজ্জিত এবং বেড, সানডেক, বাথরুম, কিচেন এবং এসি সম্বলিত। এই হাউসবোটে একজন ক্যাপ্টেন, লাইফগার্ড এবং শেফ থাকেন। হাউসবোটে থাকাকালীন স্ট্যু দিয়ে অপ্পাম, ফিশ কারি, মালাবার পরোটা ইত্যাদি কেরালার ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে ভুলবেন না। বই পড়ে, আরাম করে সময় কাটান অথবা আপনার ধুলো-বালিময়, যানজট-ক্লান্ত শহুরে অন্তরাত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করে নিন বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত এবং দূরের ছোট ছোট গ্রামের দৃশ্য উপভোগ করে।
শহুরে বাতাস থেকে বহু দূরে, ঝলমলে মন্দির-নগরী এই মহাবলিপুরম একটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, এবং এটি ঐতিহাসিক মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। এখানকার বিখ্যাত আকর্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম হল অর্জুনের প্রায়শ্চিত্ত – দুটি বিশালাকার পাথরের ওপর খোদাই করা মূর্তি। স্তম্ভটি হিন্দু পুরাণের নানান দৃশ্য উত্কীর্ণ আছে, যেমন অর্জুনের একপদ উপবাস। অন্যান্য আকর্ষণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পঞ্চরথ (সপ্তম শতাব্দীর একটি হিন্দু মন্দির) এবং অষ্টম শতাব্দীর অত্যাশ্চর্য পাথরের আকারের শোর টেম্পল, যেখান থেকে সমুদ্র দেখা যায়।
আগ্রহী হলে স্থানীয় শিল্পীদের সহায়তায় স্থাপত্য তৈরিতে বা পাথর কেটে মূর্তি বানানোতে হাত লাগাতে পারেন। এখান থেকে সাজিমাটি এবং গ্রানাইটের মূর্তি কিনতে ভুলবেন না। আপনি চাইলে আপনার কেনা জিনিসপত্র পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে পার্সেল করে দেওয়া হবে এখান থেকে, তাতে আপনার আর এটিকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঝামেলাও থাকে না।
ভারতের সবচেয়ে বেশি প্রতিকী আকৃতিগুলির মধ্যে অন্যতম কোণার্কের সূর্য মন্দির এই শহরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ত্রয়োদশ-শতাব্দীর মাঝামাঝি, সূর্য মন্দিরটি সৌরদেবতা সূর্যের রথ হিসাবে বিবেচিত হয়। সাতটি শক্তিশালী ঘোড়া বানানো রয়েছে যারা 24 টি চাকার (যা দিনের 24 ঘণ্টা সময়ের প্রতিনিধিত্ব করছে) ওপর দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এই বিশালাকায় পাথরের আকৃতিটিকে। মন্দিরটি এমনই কৌশলে তৈরি যে সূর্যের প্রথম রশ্মি এর ভেতরের অংশ এবং দেবতাকে আলোকিত করে। এই মন্দিরের আকৃতি সত্যিই হৃদয়স্পর্শী এবং সেটির প্রতি যথেষ্ট ন্যায়-সাধনের জন্য আমরা আপনাকে অন্তত একটি দিন এখানে কাটানোর পরামর্শ দেব।
আপনি চাইলে এখানকার প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহালয়ও ঘুরে আসতে পারেন, এখানে সূর্য মন্দিরের খননকার্যের সময় পাওয়া প্রচুর স্থাপত্য, পাথরের জিনিস দেখতে পাবেন। এখানে আশেপাশে ঘুরে বেড়ান, আপনার শরীরের ঠাণ্ডা ভাব একেবারে চলে যাবে।
বিশ্বের অন্যতম বড় নোনা মরুভূমি কচ্ছের রণ এক অনির্বচনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারী। শুষ্ক ঋতুতে এই বিস্তির্ণ নোনাভূমিগুলি এক একটি দ্বীপের মত, আবার বর্ষা এলেই এগুলি জলে ভেসে যয় এবং নোনা জলের বিলে পরিণত হয়। রণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল রণ উত্সব; এই সময়টিতে গুজরাট প্রদেশের এই অংশটি পারম্পরিক গুজরাটী লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য এবং বিলাসবহুল ক্যাম্পে থাকা সব মিলিয়ে যেন প্রকৃত অর্থেই জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই নোনা মরুভূমি পার্সপেক্টিভ ফোটোগ্রাফির জন্যও আদর্শ।
Book Your Flight to Rann of Kutch
মুম্বাই থেকে গাড়ি চালিয়ে 2 ঘণ্টা দূরে মাথেরান একটি রোদ ঝলমলে উইকএণ্ড কাটানোর জায়গা। আপনি কি জানেন, এই হিল স্টেশনটি ভারতের একমাত্র ’নো-অটোমোবাইল’ জোন? ফলে এখানকার বাতাস সবসময় শুদ্ধ এবং নির্মল। সহ্যাদ্রি পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত মাথেরান হল ঘণ সবুজ বনভূমির দেশ, সঙ্গে আছে পায়ে হাঁটা গ্রাম্য পথ আর অনিন্দ্যসুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। হিল স্টেশন হলেও শীতের মাসগুলিতেও এখানকার আবহাওয়া বেশ আরামদায়ক, অস্বস্তিকর ঠাণ্ডা নয়। যেহেতু টাউনের ভেতর কোন যানবাহন অনুমোদিত নয়, সেহেতু দস্তুরি কার পার্কই এখানকার নিকটতম জায়গা যেখান পর্যন্ত আপনি গাড়িতে যেতে পারবেন। এখান থেকেই সুন্দর হিল স্টেশনটি 40 মিনিটের হাঁটা পথ। আপনার হাঁটতে অসুবিধা হলে আপনি ঘোড়ার পিঠে চড়ে যেতে পারেন অথবা নেরাল জাংশন থেকে মাথেরান পর্যন্ত সিনিক টয় ট্রেন নিয়ে নিতে পারেন।
তাহলে, এই শীত থেকে পালিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?
Maryann Taylor Follow
Maryann Taylor, among other things is primarily a teller of anecdotes, devourer of books, compulsive writer, dog lover, cat slave, daydreamer and traveller, who still takes delight in reading Enid Blyton and riding bicycles.
9 Incredible Places in Rajasthan to Enjoy Nature, Wildlife & Desert Landscape
Namrata Dhingra | Feb 3, 2023
9 Majestic Forts & Palaces in Rajasthan That You Absolutely Cannot Miss!
Namrata Dhingra | Feb 3, 2023
I Felt Vibrant and Royal in Rajasthan!
Monika Shruti Gupta | Jun 5, 2020
We Did It! My Husband Drove Me and the Kids from Mumbai to HP!
Ritwika Mutsuddi | May 8, 2020
Script Your next Weekend Story at Mandawa – The Open Air Art Gallery!
Surangama Banerjee | Apr 11, 2022
Bollywood Shot Its Period Movies in These Mesmerising Locations
Ashish Kumar Singh | May 7, 2019
Rajasthan Best Hotels Map: Udaipur, Jaipur, Jaisalmer
Meena Nair | Aug 21, 2020
Ever Had a Luxurious Meal by an Ancient Stepwell in Rajasthan?
Arushi Chaudhary | Jan 2, 2018
Winter Wonders: These 5 Hotels are Best Enjoyed When it’s Freezing Outside
Arushi Chaudhary | Dec 20, 2019
Best Resorts for Celebrating a White Christmas
Protima Tiwary | Dec 16, 2019
Planning a Christmas Holiday? Here's Where You Should Go!
Namrata Dhingra | Nov 5, 2019
6 Epic Outdoor Restaurants in Delhi to Visit This Winter
Mikhil Rialch | Sep 24, 2018
Head Over for The Perfect Northern Lights Experience!
Nidhi Dhingra | Sep 24, 2019
Holidays under 10k This January for an Exciting Start to the Year
Namrata Dhingra | Apr 11, 2022
Top 5 Places to See Snowfall in India
Gurmeet Kaur | Feb 2, 2023
Last Minute Christmas Holidays. Yes, it’s possible!
Devika Khosla | Sep 24, 2019