সিঙ্গাপুর থেকে চমৎকার 7 দিনের ট্রিপ

Chandana Banerjee

Last updated: Sep 24, 2019

Want To Go ? 
   

মজা করার এবং দেখার জিনিসে ভরপুর এই ব্যস্ত সিঙ্গাপুর শহরে যদি আপনি আগে গিয়ে থাকেন, তাহলে এই শহরের বাইরে এই সিটি অফ গার্ডেন্স-এর কিছু জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন। খোলা আকাশের নীচে ঘুরে আসার মত কিছু প্রিয় জায়গা এখানে দেওয়া হল।

বাতাম আইল্যাণ্ড

batam-island

ইন্দোনেশিয়ার অষ্টম বৃহত্তর শহর এই বাতাম আইল্যাণ্ডের জি-ত্রয়ের জন্য বিখ্যাত – গল্ফিং, গ্যাম্বলিং এবং গর্জিং বা গণ্ডেপিণ্ডে খাওয়া। ক্যাসিনোতে কিছু সময় কাটাতে হলে অথবা কাছের সমুদ্র থেকে গং-গং সামুদ্রিক শামুক এবং কাঁকড়ার উপাদেয় রান্না খেতে চাইলে এগিয়ে যেতে পারেন সিঙ্গাপুর থেকে বোটে এক ঘণ্টা দূরে এই বাতাম আইল্যাণ্ডের দিকে। এসবের পরেও যদি দেহে এনার্জি বাঁচে তাহলে আপনার জন্য কাছেই একটি ওয়াটারফ্রণ্ট সিটি আছে যেখানে ওয়াটার স্পোর্টস এবং গো-কার্ট রেসিং করতে পারেন। আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখতে হলে বাতাম সেণ্টারে মসজিদ রাণা গ্র্যাণ্ড মস্ক, এবং বৌদ্ধ মন্দির – মহা বিহার দুত মৈত্রেয় বিশেষ আকর্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম।

সিঙ্গাপুর থেকে দূরত্ব: 156 কিমি

​​মেলাকা

melaka

মলাক্কা নামেও পরিচিত এই জায়গাটি একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবসায়িক কেন্দ্র ছিল। সিঙ্গাপুর থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা দূরে এই জায়গাটিতে ঔপনিবেশিক স্থাপত্যশিল্প উপভোগ্য, এর মধ্যে 8 হরীন স্ট্রীটের অষ্টম শতাব্দীর ডাচ ঘরবাড়ি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। যাওয়ার পথে একবার ঘুরে যাওয়ার মত অন্যতম জায়গা হল বাবা এণ্ড ন্যোন্যা হেরিটেজ মিউজিয়াম, এটি ঘুরে দেখার পর কাছের রেস্টুরেণ্টে খাওয়াদাওয়া সেরে নিতে পারেন – এখানে পিংপং বলের সাইজের চিকেন রাইস বল পেয়ে যাবেন।

সিঙ্গাপুর থেকে দূরত্ব: 239 কিমি

পুলাউ উবিন​​

palau-ubin

সময়ের মধ্যে ঘুরে আসতে হলে সিঙ্গাপুরের একটি গ্রাম পুলাউ উবিনে ঘুরে আসুন – বামবোটে সিঙ্গাপুর থেকে 10-মিনিটের রাস্তা। এখানকার জীবনযাত্রা এখনও সেইরকমটি আছে যেমনটি সিঙ্গাপুরে ছিল ষাটের দশকে – জল বা বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়াই। এখানকার গ্রামগুলিতে এখনও কুঁয়া থেকে জল তুলতে হয় এবং বিদ্যুত-এর উৎস এখনও জেনারেটর। মুদিখানার দোকান থেকে জিনিসপত্র না কিনে এখানকার লোকজন কৃষিকাজ এবং মৎস্যচাষের মাধ্যমেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উত্পাদন করেন। এই জায়গার খামখেয়ালী বৈচিত্র্যকে উপভোগ করতে হলে গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়ান, চেক জাওয়া দেখুন – এটি সামুদ্রিক প্রাণীতে ভরা একটা জল-জমা জায়গা। আইল্যাণ্ডের রুক্ষ রাস্তায় মাউণ্টেন বাইক রাইড করে দেখুন।

সিঙ্গাপুর থেকে দূরত্ব: 68 কিমি

বিনতান আইল্যাণ্ড​​

bintan-island

এককালে, প্রচণ্ড ঝড়ের সময় ভারতীয় এবং চীনা ব্যবসায়িক জাহাজের সুরক্ষিত বন্দর ছিল এই আইল্যাণ্ডটি। মার্কোপোলো 1201 সালে এই আইল্যাণ্ডটিতে গিয়েছিলেন; এখন দক্ষিণ চীনা সাগরে সার্ফিং অ্যাডভেঞ্চার করতে এবং পুরোনো বীচে মূল্যবান জিনিসের খোঁজে আপনি এই আইল্যাণ্ডটিতে বোটে করে যেতে পারেন। সুন্দর প্রকৃতির মধ্যে যারা আরাম করে সময় কাটাতে চান বা নিজেদের পুনরুজ্জীবিত করতে চান তাদের জন্য বিনতান আইল্যাণ্ডটিও উপযুক্ত – এখানে নির্মেঘ আকাশের নীচে অনেক বিলাসবহুল রিসোর্ট আছে। বিনতান আইল্যাণ্ডে এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছোতে হলে বোট বা ক্যাটামেরন বুক করুন।

সিঙ্গাপুর থেকে দূরত্ব: 2,198 কিমি

জোহর বাহরু

​কেনাকাটার প্ল্যান থাকলে অবশ্যই জোহর বাহরুতে যান – এটি মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সিটি স্কোয়ারের দোকানগুলিতে সমস্ত রকমের প্রাত্যহিক ব্যবহার্য জিনিস, কসমেটিকস এবং কাপড়জামা পেয়ে যাবেন – এবং এইসব জিনিস সিঙ্গাপুরের থেকে এখানে অনেক সস্তা। সিঙ্গাপুর থেকে বাসে কয়েক ঘণ্টা দূরে অবস্থিত এই জোহর বাহরু চীনা এবং হিন্দু মন্দির এবং মসজিদের জন্যও বিখ্যাত। আশেপাশের জায়গা ঘুরে দেখতে গেলে আপনার সবচেয়ে ভাল লাগবে হিন্দু আরুলমিগু রাজকালিম্মন গ্লাস টেম্পল এবং লেগোল্যাণ্ড মালয়েশিয়া, বিশেষ করে, যদি আপনার সঙ্গে আপনার বাচ্চা থাকে।

সিঙ্গাপুর থেকে দূরত্ব: 25 কিমি​

সেনতোসা আইল্যণ্ড​​

sentosa-island

আপনার ভ্রমণযাত্রাকে যদি আরও মজায় ভরিয়ে তুলতে চান তাহলে সিঙ্গাপুর থেকে সেনতোসা আইল্যাণ্ড যাওয়ার কেবল কার বুক করে ফেলুন। ওখানে পৌঁছে উঠে পড়ুন 600 ফুট উঁচু স্কাই-ট্রেলে যেটি আপনাকে ফোর্ট সিলোসোতে নিয়ে যাবে; পায়চারি করুন বীচে, মেরিন ম্যামল শো দেখুন; অথবা প্রজাপতি সংরক্ষণালয়ে ঘুরে অসুন। দ্বিগুন মজার জন্য এগিয়ে যান রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড সেনতোসার দিকে – এটি একটি আঁকাবাঁকা কমপ্লেক্স, যেখানে ইউনিভার্সাল স্টুডিও থিম পার্ক, শপিং মল, ক্যাসিনো এবং S.E.A. একোয়েরিয়ামটি অবস্থিত।

সিঙ্গাপুর থেকে দূরত্ব: 22 কিমি​

সাঙ্গেইবুলো ওয়েটল্যাণ্ড রিজার্ভ

আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হন, জঙ্গলের বন্যতার মধ্যে সময় কাটাতে যদি আপনার সবচেয়ে ভাল লাগে, তাহলে বোধহয় সাঙ্গেইবুলো আপনার জন্য একেবারে যথার্থ জায়গা। সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এই জায়গা দিয়ে হেঁটে গেলেই আপনি ভোঁদড়, সাপ, টিকটিকি, হেরন এবং এমনকি সাইবেরিয়া এবং চীনের পরিযায়ী পাখির দেখা পাবেন। ক্রাঞ্জি জেলায় থাকার সময় জুরং ফ্রগ ফার্ম ঘুরে আসুন – এখানে তিয়াঞ্জি নামের একটি বিশেষ ট্র্যাডিশনাল খাবার বানানোর জন্য বুলফ্রগ উত্পাদন করা হয়। দ্য হে ডয়েরিজ – সিঙ্গাপুরের একমাত্র ছাগল-ফার্ম, এবং ফেয়ারফ্লাই – একটি অরগ্যানিক ফুড ফার্ম – এই দুটিও বেশ আকর্ষণীয় জায়গা।

সিঙ্গাপুর থেকে দূরত্ব: 20 কিমি

লিস্টটি সঙ্গে নিয়ে বেরোন, সিঙ্গাপুরের আশেপাশের জায়গা বেড়ানোর জন্য আপনি তৈরি।

Book Your Flight to Singapore Now!