48 ঘণ্টায় সিঙ্গাপুর

Devika Khosla

Last updated: Sep 24, 2019

Want To Go ? 
   

সিঙ্গাপুর শহরের আপনাকে যা কিছু দেওয়ার আছে তার প্রতি ন্যায় সাধন করতে হলে আটচল্লিশ ঘণ্টা হয়ত যথেষ্ট নয়। যদিও, অনেকটাই ঘুরে ফেলা যায়! আশেপাশের জায়গা ঘুরে দেখা থেকে শুরু করে শপিং থেকে খাওয়া-দাওয়া এবং মজা – সিঙ্গাপুরে সবই পাবেন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এক অদ্ভূত মিশ্রণ এই সিঙ্গাপুর যেন সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র। সবকিছু মিলিয়ে 48 ঘণ্টায় আপনি এখানে কি কি করতে পারেন, তা তুলে ধরা হল।

প্রথম দিন

চায়নাটাউন

Chinatown-48-hours-in-Singapore

ভিড় এড়াতে সকাল সকাল পৌঁছে যান চায়নাটাউনে। শহরের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক জেলার চীনা ঐতিহ্যের সিক্রেট জানুন, স্ট্রীট হকারে ভরা গলিতে ঠাসা, হিপ বার এবং বুটিক স্টোরের পাশাপাশি ফ্যামিলি-চালিত দোকানপাট এই সব মিলিয়ে এটি পারম্পরিকতা এবং আধুনিকতার সমন্বয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। চায়নাটাউনে বুদ্ধ টুথ রিলিক টেম্পল এবং মিউজিয়মও আছে, কিছুটা সময় থাকলে আপনি এখানেও ঘুরে আসতে পারেন, টুক করে ঘুরে আসতে পারেন 320 কিলোগ্রাম সোনার বিশাল স্তুপটিও।

সিঙ্গাপুর নদী-বিহার

চায়নাটাউনের পর সিঙ্গাপুরে নৌকাবিহার করতে এগিয়ে যান বোট জেটি ঘাটের দিকে। জলযাত্রা শুরু হলেই আধুনিক গগণচুম্বীর পাশাপাশি ঔপনিবেশিক আমলের ঘরবাড়িও দেখতে পাবেন। দেখে নিন সিঙ্গাপুরের গ্র্যাণ্ড ব্রিজ এবং মার্লিওন ও এসপ্ল্যানেডের মত ঐতিহাসিক ল্যাণ্ডমার্কও।

মারলিওন পার্ক

Merlion-Park-48-hours-in-Singapore

প্রায় ন’ মিটার উঁচু সিঙ্গাপুরের আইকনিক মার্লিওন স্ট্যাচু হল সিংহের মাথা এবং মাছের দেহ-ওয়ালা একটি পৌরাণিক প্রাণী। সিঙ্গাপুরের প্রায় একটি ল্যাণ্ডমার্কেরই সমতুল্য এই মার্লিওন শহরের বিনম্র মূলকে বোঝায় মেছুয়াদের গ্রাম হিসাবে।

দ্য এসপ্ল্যানেড

দুপুরের খাবারের জন্য একটু বিরতি নিন এসপ্ল্যানেডে, এটি জলাশয়ের দিকে মুখ করা পারফর্মিং আর্টসের জায়গা। ত্রিকোণ-বিভক্ত কাচ এবং সানশেড দিয়ে তৈরি এই কমপ্লেক্সটি বানাতে 600 সিঙ্গাপুর ডলার খরচ হয়েছে। দ্য এসপ্ল্যানেড মলে নানান রেস্টুরেণ্ট এবং ক্যাফে আছে, যেখানে আপনি খাবারে কামড় দিতে দিতে এখানকার সাধারণ হৈ-হুল্লোড় দেখতে পারবেন।

গার্ডেনস বাই দ্য বে

Gardens-by-the-bay-48-hours-in-singapore

দ্য এসপ্ল্যানেডের সঙ্গেই লাগানো 101 হেক্টরের নেচার পার্ক: গার্ডেনস বাই দ্য বে। মেরিনা বে-র স্কাইলাইনের চমৎকার দৃশ্য-সম্বলিত এই জায়গাটিতে সাতটি আলাদা আলাদা “বাগান” নিয়ে ফ্লাওয়ার ডোম তৈরি করা এবং একটি অলিভ-বন, উপকূলীয় পর্বতমালার ফনা এবং অর্কিড ও ফার্ন সহ একটি ক্লাউড ফরেস্ট, সুপারট্রি গ্রোভ সহ টাওয়ারের মত গাছের আকার যেটি লাইট এণ্ড মিউজিক শো OCBC গার্ডেন রাপসোডির সময় জীবন্ত হয়ে ওঠে।

ক্লার্ক কোয়ে

শহর ঘুরে ঘুরে দেখার এই ঘটনাবহুল দিনটি কাটানোর পর মাথা এলিয়ে দিন ক্লার্ক কোয়ের কোন বার বা ক্লাবে। অ্যাক্টিভিটি নিয়ে সবসময় ব্যস্ত বলে আপনি যদি না এই কম সময়ের মধ্যে পার্টি করতে নাও চান, তাহলে ক্লার্ক কোয়ে লোকজন-দেখার জন্য এবং আপনার চারিদিরের ঘটনাবহুল পরিবেশ দেখার জন্য আদর্শ জায়গা।

দ্বিতীয় দিন

সিঙ্গাপুর বটানিক গার্ডেন্স

Singapore-botanic-gardens-48-hours-in-singapore

দ্বিতীয় দিন শুরু করুন সিঙ্গাপুর বটানিক গার্ডেন্স দিয়ে, এটি একটি UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। মূল আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে সবুজ অরণ্য, বনসাঁই গার্ডেন, 1,000 –র বেশি প্রজাতিসহ দ্য ন্যাশনাল অর্কিড গার্ডেন, বিশাল অ্যামাজন ওয়াটার লিলির পুল সহ জিঞ্জার গার্ডেন, উপকূলীয় রেইন ফরেস্ট, এবং ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত 400-র বেশি প্ল্যাণ্টের প্রজাতি সহ হীলিং গার্ডেন।

অর্চার্ড রোড

শহরের কেনাকাটার কেন্দ্রস্থল অর্চার্ড রোডে কিছু খুচরো কেনাকাটা করতে পারেন। খুচরো ব্যবসায়ীদের থেকে দু কিলোমিটার দূরে, অতুলনীয় চড়া দামের এবং ক্যাজুয়াল স্টোর এবং সঙ্গে এই এলাকাতেই আপনি 25টিরও বেশি মল পেয়ে যাবেন, যেখানে কাপড়-জামা থেকে ইলেক্ট্রনিক্স সব কিছুই পেয়ে যাবেন। অর্চার্ড রোডে অনেক খাবার দোকান এবং ক্যাফে পেয়ে যাবেন, সুতরাং কফিতে চুমুক দিয়েই বেরিয়ে পড়ুন আপনার শপিং কণ্টিনিউ করতে।

লিটল ইণ্ডিয়া

Little-India-48-hours-in-singapore

অর্চার্ড রোডের পর লাঞ্চের জন্য বেরিয়ে পড়ুন লিটল ইণ্ডিয়াতে। এখানে পৌঁছে আপনি ভুলেই যাবেন যে আপনি বিদেশে আছেন। খাওয়া দাওয়ার এই হটস্পটে প্রচুর ভারতীয় খাবারের দোকান পাবেন, যেখানে ডোসা থেকে তন্দুরী চিকেন – সমস্ত রকম ভারতীয় আঞ্চলিক খাবারই মজুত। পেটপুজোর পর শপিং-প্রিয় লোকজন সস্তায় কেনাকাটার জন্য বিখ্যাত মুস্তাফা সেণ্টারে যেতে পারেন আর ধার্মিকরা লিটল ইণ্ডিয়ার মন্দিরে আশীর্বাদ-প্রার্থনা করে আসতে পারেন।

সিঙ্গাপুর ফ্লায়ার

সূর্যাস্তের সময় এক চক্কর দিয়ে আসুন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফেরিস হুইল - সিঙ্গাপুর ফ্লায়ারে। 28টি এয়ার-কণ্ডিশনড ক্যাপসুল থেকেই শহরের 360 ডিগ্রী দৃশ্য এবং সবকটি ল্যাণ্ডমার্কই দেখা যায়। সিঙ্গাপুর ফ্লায়ারে একটি রাইড 30 মিনিটের হয়, ফলে শহরে নাইট আউট করার জন্য আপনি অনেকটাই সময় পেয়ে যাবেন।

ক্লাব স্ট্রীট

মজা করার উদ্দেশ্য নিয়ে চায়নাটাউনের কাছে ক্লাব স্ট্রীটের দিকে এগিয়ে যান। এটি একটি জনপ্রিয় নাইটলাইফ স্পট, এখানকার বার এবং লাউঞ্জে বার-হপিং করুন, লাইভ মিউজিক এবং DJ সেট এনজয় করুন।

Book Your Flight to Singapore Now!